বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
 দৈনিক বাংলাদেশ

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল


রোমানা আক্তার
রোমানা আক্তার
প্রকাশ : ২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৬ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ |

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল
ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টি ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় বুধবার (১ অক্টোবর) সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তবে বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও থেমে নেই পর্যটকদের পদচারণা। টানা সরকারি ছুটি আর শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। ফলে শহরজুড়ে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে রুম সংকট দেখা দিয়েছে। সৈকতের সুগন্ধা, লাবণী, শৈবাল ও কলাতলী পয়েন্টে বৃষ্টির ফাঁকেও ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।

সিলেট থেকে আসা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সাহা বলেন, কক্সবাজার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। এখানেই হয় দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন। আমরা সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি। বৃষ্টিও ভ্রমণের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে।

পর্যটকের এই স্রোতে প্রাণ ফিরেছে স্থানীয় ব্যবসায়। বার্মিজ মার্কেটের শুটকি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, শুটকির ভালো চাহিদা আছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। আশা করছি ৩ ও ৪ অক্টোবর আরও জমজমাট ব্যবসা হবে।

কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, শহরে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার পর্যটকের আবাসন সুবিধা রয়েছে।
সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, সব হোটেল-মোটেল আগেই বুকড হয়ে গেছে। এবার পর্যটকের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়াতে পারে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার জন্য সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হবে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠান ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

আপনার মতামত লিখুন

 দৈনিক বাংলাদেশ

প্রকাশের তারিখ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫


ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল

প্রকাশের তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২৫

featured Image
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টি ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় বুধবার (১ অক্টোবর) সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তবে বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও থেমে নেই পর্যটকদের পদচারণা। টানা সরকারি ছুটি আর শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। ফলে শহরজুড়ে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে রুম সংকট দেখা দিয়েছে। সৈকতের সুগন্ধা, লাবণী, শৈবাল ও কলাতলী পয়েন্টে বৃষ্টির ফাঁকেও ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।

সিলেট থেকে আসা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সাহা বলেন, কক্সবাজার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। এখানেই হয় দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন। আমরা সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি। বৃষ্টিও ভ্রমণের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে।

পর্যটকের এই স্রোতে প্রাণ ফিরেছে স্থানীয় ব্যবসায়। বার্মিজ মার্কেটের শুটকি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, শুটকির ভালো চাহিদা আছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। আশা করছি ৩ ও ৪ অক্টোবর আরও জমজমাট ব্যবসা হবে।

কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, শহরে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার পর্যটকের আবাসন সুবিধা রয়েছে।
সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, সব হোটেল-মোটেল আগেই বুকড হয়ে গেছে। এবার পর্যটকের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়াতে পারে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার জন্য সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হবে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠান ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সমন্বিতভাবে কাজ করবে।


 দৈনিক বাংলাদেশ

সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দু শুক্কুর নির্বাহী সম্পাদক: রকসী সিকদার পরিচালনা সম্পাদক : ইকবাল চৌধুরী বার্তা সম্পাদক : আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ
কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক বাংলাদেশ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত